“প্রতিটি শিশু মানুষ হোক আলোর ঝর্ণাধারায় “এই স্লোগানকে ধারণ করে হাটি হাটি পা পা করে ৭ম বছর পেরিয়ে ৮ম বছরে পদার্পণ করেছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দ্বারা পরিচালিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন “লুমিনারি”।

শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি ভবনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এই সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির উপদেষ্টা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শফিকুল আলম,লুমিনারির প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ফরহাদুল ইসলাম, মোফাসসের হায়দার ভুঁইয়া, নিসারুদ্দীন,মোবারক হোসেন রঞ্জু, তাজরিন জাহান জিনিয়াসহ সংগঠনটির বর্তমান সদস্য এবং শিক্ষার্থীবৃন্দ।

২০১৫ সালে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের কয়কজন উদ্যমী শিক্ষার্থীর উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় “লুমিনারি”। ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শফিকুল আলমের অনুপ্রেরণা পেয়ে শুরুতে ১ম ও ২য় ব্যাচ (বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ম ও ৮ম ব্যাচ) এর কয়েকজন শিক্ষার্থী তাদের মানবিক দায়িত্ববোধ থেকে এমন একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করার চিন্তা করছিল। তাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফসল হচ্ছে আজকের এই লুমিনারি।লুমিনারির শুরু হয়েছিল মাত্র ৭জন সুবিধাবঞ্চিত শিশু নিয়ে।

বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের গ্রামগুলোর সুবিধাবঞ্চিত প্রায় ১০৬ জন শিশু নিয়ে প্রতি শুক্রবার বিকেলে লুমিনারির সাপ্তাহিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এসময় নিয়মিত পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। এছাড়া দেশপ্রেম, সামাজিক সচেতনতা,মুক্তিযুদ্ধ ও সাম্প্রতিক বিষয়সমূহ নিয়ে আলোচনা করা হয়। পড়াশোনার প্রতি আগ্রহী করে তুলতে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। সবশেষে নাস্তার ব্যবস্থা করা হয়।

অভিভাবকদের সচেতনতা আরও বৃদ্ধি করার জন্য প্রতি মাসে তাদের বাড়িতে যায় সদস্যরা। অভিভাবকদের পছন্দমতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি করানো ও প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয় লুমিনারিতে। এছাড়া ঈদের সময় ঈদ উপহার, শীতের সময় শীতবস্ত্র, বর্ষাকালে গাছের চারা বিতরণ করে।

বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে অধ্যয়নরত ৩৮ জন শিক্ষার্থী সুবিধাবঞ্চিত এই শিশুদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। লুমিনারির এই সদস্যরাই লুমিনারি’র যাবতীয় ব্যয়-ভার বহন করে থাকে। কোন প্রকার আর্থিক সাহায্য লুমিনারী গ্রহন করে না।